শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুকুমার চৌধুরী বলেছেন, সংখ্যালঘু সমস্যা সমাধানে সরকার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনেকগুলো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু এসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেই। এতে আমরা হতাশ ও বিস্মিত। ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এ হতাশা ব্যক্ত করেন। এ সময় তিনি প্রতিশ্রুতির দ্রুত বাস্তবায়নের জোর দাবি জানান। তিনি বলেন, অব্যাহত সহিংসতা ও ক্রমবর্ধমান সাম্প্রদায়িক শক্তি এ দেশের সনাতন সম্প্রদায়ের জীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। এদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এই মুহূর্তে তারা এক ভীতিকর পরিবেশ পরিস্থিতির মুখোমুখি।
তিনি আরও বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে সরকারি দল যে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছিল, তাতে সুস্পষ্ট লেখা ছিল, এ রাজনৈতিক দল পুনরায় নির্বাচিত হলে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ আইন দ্রুত বাস্তবায়ন, পার্বত্য শান্তি চুক্তি ও পার্বত্য ভূমি কমিশন আইনে যথাযথ বাস্তবায়ন, সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন ও দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইন প্রণয়নের যথাযথ ব্যবস্থা করবে। কিন্তু তা করেনি।গত বছর পূজামণ্ডপে হামলার কথা উল্লেখ করে সুকুমার চৌধুরী বলেন, কুমিল্লার পূজামণ্ডপে গুজব ছড়িয়েছিল একটি মহল। এরপর পরিকল্পিতভাবে নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর এবং চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক পূজামণ্ডপসহ দেশের বিভিন্ন মণ্ডপে ভাঙচুরসহ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর পৈশাচিক নির্যাতন চালায় দুর্বৃত্তরা।এসব ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ সম্প্রতি নড়াইলে ও আশুলিয়ার ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি জানান তিনি।
আগামী ১৯ আগস্ট (শুক্রবার) ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথির স্মারক শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সারাদেশে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় পালন করা হবে এই উৎসব। এ উপলক্ষে বিভিন্ন জেলায় বস্ত্র বিতরণ, রক্তদান, অনাথ ও দুস্থদের মধ্যে খাদ্য বিতরণসহ গীতা পাঠ, সন্ধ্যারতি, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী পূজান ও সমবেত প্রার্থনা করা হবে। দিনটি উপলক্ষে চট্টগ্রামেও পাঁচ দিনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।