ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং কেটে গেছে। নদীর পানিও কমতে শুরু করেছে। কিন্তু বরিশাল নগরীর পানি কমছে না। এখনও বিভিন্ন সড়ক এবং অলিগলি রয়েছে পানির নিচে।
এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ওইসব এলাকার মানুষ। খাল ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ এবং ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করায় একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। নদীর পানি কমলে সড়কের পানি নেমে যাবে বলে জানিয়েছেন সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা। নদীর পানি কমতে শুরু করেছে বলে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব কেটে গেছে গত সোমবার রাতে। সিত্রাংয়ের প্রভাবে নদীর পানি প্রবাহিত হয় বিপদসীমার উপর দিয়ে। গত মঙ্গলবার বরিশালে নদীর পানি বিপদসীমা ছাড়িয়ে সর্বোচ্চ ৩ থেকে ৪ ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হয়। ওইদিন নগরীর প্রধান প্রধান সড়কসহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। বুধবার থেকে নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। এতে প্রধান প্রধান কিছু সড়কের পানি নেমে গেছে।
তবে নগরীর বটতলা সড়ক, বগুড়া রোড, আমীর কুটির, সুলতান কুটির, আমতলা সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক এবং অলিগলি এখনও পানিতে তলিয়ে আছে। ওইসব সড়কে চলাচলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন জনসাধারণ। তাদের অভিযোগ, প্রবাহমান খাল ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ এবং ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করায় আটকে পড়া পানি নামছে না। এ জন্য কর্তৃপক্ষের ভুল সিদ্ধান্ত এবং অবহেলাকে দুষছেন তারা। ভোগান্তি থেকে রক্ষা পেতে কর্তৃপক্ষের কার্যকর ভূমিকা দাবি করেছেন তারা।
সিটি করপেরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা স্বজন কুমার দাস বলেন, ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়। নদীর পানি অনেক বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন প্রধান সড়ক এবং অলিগলি পানিতে তলিয়ে আছে। নদীর পানি কমলে নগরীতে জলাবদ্ধতা থাকবে না।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাইড্রোগ্রাফি বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম জানান, নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। গতকাল মঙ্গলবারের চেয়ে বুধবার অনেক নদীর পানি কমেছে। কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তেতুলিয়া, মেঘনা, সুরমা, বিষখালী, বুড়িশ্বর, পায়রা, বলেশ্বর এবং কঁচা নদীর পানি গতকাল কিছুটা কমার পরও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। তবে ধীরে ধীরে পানি আরও কমবে বলে তারা আশা করছেন।