বিএনপির বিভাগীয় পর্যায়ের গণসমাবেশ ঘিরে পরিবহন ধর্মঘটের দায় বিএনপি নেতাদের ওপর চাপিয়ে দুই মন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও শিষ্টাচারবহির্ভূত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।
রোববার রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে শিমুল বিশ্বাস বলেন, ‘সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের পদে থাকার কারণে গত শুক্রবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কৌশলে এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সরাসরি ধর্মঘটের দায় আমার ওপর চাপানোর অপচেষ্টা করেছেন। এটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও নিন্দনীয়।’
তিনি আরও বলেন, বাস্তবতা হচ্ছে, সারা দেশে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ ঘিরে গণপরিবহন ধর্মঘটের বিপক্ষে বেশিরভাগ পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। তাদের সিদ্ধান্তে এ ধর্মঘট হচ্ছে না। সরকার ও প্রশাসন চাপ দিয়ে এ ধর্মঘট সৃষ্টি করছে। মালিক ও শ্রমিকরা নন, সরকারই এর সঙ্গে সম্পৃক্ত। মূলত বিএনপির গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা পরিবহন বন্ধ রাখতে বাধ্য করেছে, যাতে গণসমাবেশে বিএনপির লোকজন কম আসেন। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ডাকা এ ধর্মঘটে মালিক-শ্রমিকদের লোকসান হচ্ছে।
শিমুল বলেন, শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচিত বাধা দেওয়ার কারণে পরিবহন সেক্টরের নিরীহ মালিক ও শ্রমিকদের গায়ে রাজনৈতিক তকমা দেওয়া হচ্ছে। মালিক ও শ্রমিকরা কষ্টে রয়েছেন। আর ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও মন্ত্রীরা শয়তানি কৌশলে বিরোধীদলীয় শ্রমিক ও মালিক নেতাদের নাম জড়িয়ে বক্তব্য দিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টা করছেন। তবে তাদের এ কৌশল রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করেনি।’
এ শ্রমিক নেতা আরও বলেন, ‘বিরোধী রাজনৈতিক দলের গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার উদ্দেশ্যে সরকারি প্ররোচনায় আয়োজিত ধর্মঘটের বিপক্ষে মালিক-শ্রমিকরা। চক্রান্ত করে বিএনপির পরবর্তী সমাবেশগুলো ঘিরে আবারও কোনো ধর্মঘট আয়োজন করা হলে তার বিপক্ষে শ্রমিক ও মালিকদের অবস্থান থাকবে।