বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের দুইদিন আগেবৃহস্পতিবার দুপুর থেকে নেতাকর্মীদের আগমনে সরগরম হয়ে উঠেছে বঙ্গবন্ধু উদ্যান (বেলস পার্ক)। দুপুরের পর থেকেই বিভাগের বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা এসে জমায়েত হচ্ছেন উদ্যানে। উদ্যানের একদিকে চলছে মঞ্চ নির্মাণের কাজ। অন্যদিকে ব্যানার-ফেস্টুন লাগাচ্ছেন নেতাকর্মীরা।
বিএনপি নেতাকর্মীরা মাঝে মাঝেই মিছিল-স্লোগান দিচ্ছেন। স্লোগানে তারা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানাচ্ছেন। পটুয়াখালীর গলাচিপা থেকে আসা যুবদল কর্মী আসাদুজ্জামান সোহাগ বলেন, বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করায় দুই দিন আগেই বরিশালে এসেছি। কোনো হোটেল খালি না থাকায় এক আত্মীয়ের বাসায় উঠেছি।
বরগুনা থেকে আসা ছাত্রদল নেতা শরিফুল ইসলাম বলেন, নেতাকর্মীদের নিয়ে বুধবার রাতেই বরিশালে এসেছি। দুই দিন আগে থেকে হোটেল বুকিং দিয়ে রাখায় কোনো রকমে রুম পেয়েছি।
ভোলার দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মো. আবু জাফর দিদার বলেন, লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় ট্রলারে করে তেঁতুলিয়া নদী পার হয়ে বরিশালে পৌঁছেছি।
ভোলার দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. মোসলে উদ্দিন সিকদার জানান, বরিশালে কোনো হোটেল খালি পাইনি। রাতে নেতাকর্মীদের নিয়ে মাঠেই থাকব। হোটেলে খাবার পাব না। এজন্য আমাদের নেতারা মাঠে খাবারের ব্যবস্থা করবেন।
বরিশালে গণসমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির দলনেতা সদস্য হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেন, আওয়ামী লীগের অপকৌশলের বিরুদ্ধে বিএনপির নেতাকর্মীদের পাল্টা জবাব হচ্ছে, দুইদিন আগেই মাঠে আসছেন তারা। এরা সমাবেশের লোক হলেও এখনো মূল ঢল নামেনি।
তিনি বলেন, সরকার কোনো বাধা সৃষ্টি করে বরিশালের গণসমাবেশ বানচাল করতে পারবে না। এদিকে, বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ কেন্দ্র করে দু’দিন বাস ও তিন চাকার যানবাহন বন্ধ ঘোষণার পর এবার পুরো বরিশালে যাত্রীবাহী লঞ্চ বন্ধ করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে।
বরিশাল-ভোলা রুটে সকাল থেকে স্পিডবোট ও যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। বরিশালের বিএনপি নেতারা বলছেন, ৫ নভেম্বর বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করেই বরিশাল-ভোলা রুটে নৌযান বন্ধ করা হয়েছে।