দক্ষিণাঞ্চলের ২০ নদীতে ড্রেজিং করার জন্য বিশেষ উদ্যোগ বিআইডব্লিউটিএর
পদ্মা সেতু হওয়ার পর মাওয়ায় পদ্মা নদীর মূল চ্যানেলে প্রচুর চর পড়তে শুরু করেছে। আগে যেখানে ১০/১২ ফুট পানি ছিল এখন তিন চার ফুট পানি রয়েছে ।
এছাড়া কালভার্ট, বিদ্যুতের খুটি স্থাপন সহ নানা কারণে নদীর প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে পলি পড়ছে। বরিশালের বেশ কিছু নদ-নদীতে নাব্যতা না থাকায় এসব নদীতে ড্রেজিং করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রবিবার বরিশালের নদ নদীতে ডেজিং বিষয় সংবাদ সম্মেলনে বিআই ডব্লিউটিএর নৌ পরিচালন ও সংরক্ষণ বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক আব্দুল মতিন সরকার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এ সময় তিনি বলেন দক্ষিণাঞ্চলের ২০টি নদীর,অন্তত ১২টি রুটে ৪৭ টি পয়েন্টে, ৩০ লক্ষ ঘন মিটার ড্রেজিং করা হবে। এজন্য ১২ থেকে ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ১৭ টি ড্রেসিং মেশিন দিয়ে খনন করা হবে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে এসব ড্রেজিং সমাপ্ত হবে। এ বিষয়ে আমাদের সার্ভে সম্পন্ন হয়েছে।
বরিশালে নদী বন্দর কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান ড্রেজিং করা পলি যাতে পানিতে না ফেলা হয় সেজন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। নতুন দুইটি ড্রেজিং মেশিনে অপসারিত পলি ড্রেজিং মেশিনের মধ্যে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে । এছাড়া নদী তীরে বিভিন্ন পয়েন্টে অপসারিত পলি রাখার জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা জানান ড্রেজিং না করা হলে বরিশাল নদীবন্দর থেকে বিভিন্ন রুটে চলাচল দুরূহ হয়ে পড়বে।
বরিশাল লঞ্চ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু জানান, এই শুষ্ক মৌসুমে দ্রুত ড্রেজিং না করা হলে, নদী নাব্যতা হারাবে এর ফলে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা মালিক লঞ্চ মালিক সমিতি থেকে বিভিন্ন রুটে ড্রেজিং করার জন্য চিঠি দিয়েছি, অবিলম্বে ড্রেজিং না করা হলে নৌপথ হুমকির মুখে পড়বে, লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে।