বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে মাদক মামলায় তিন বছর কারাবাসের সময় সেলাই মেশিন চালনায় প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন নারী মোর্শেদা আক্তার। সাজাভোগ শেষে মুক্তি পেলে স্বাবলম্বী করতে বৃহস্পতিবার সকালে তাকে সেলাই মেশিন দিয়েছেন জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন।
এসময় মাদক মামলায় যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আরেক নারী কনা বেগমের স্কুল পড়ুয়া মেয়ের লেখাপড়ার খরচ বাবদ ৫ হাজার টাকা দিয়েছেন তিনি। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এই সেলাই মেশিন ও টাকা বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রবেশন কমকর্তা সাজ্জাদ পারভেজ।
তিনি জানান, সমাজসেবা কার্যালয়ের অপরাধী সংশোধন ও পুনর্বাসন সমিতির উদ্যোগে কারাবন্দি নারীপুরুষদের সেলাই, তাঁত ও নকশি কাঁথা, ইলেকট্রিক ও কাঠের কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। মোর্শেদা কারাগারে থাকা অবস্থায় আমাদের কাছ থেকে সেলাই প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। সাজা ভোগ শেষে বুধবার তিনি মুক্তি পান।
স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের কারনে ৪ সন্তানের খরচ বহন করতে হবে মোর্শেদাকেই। তাই তাকে স্বাবলম্বী করতে সেলাই মেশিন দেওয়া হয়েছে।
বরিশাল জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, কারাবন্দি নারীরা সাজা ভোগ শেষে আবারও অপরাধ কাজে জড়ানো ঠেকাতে প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বাবলম্বী করা হচ্ছে। প্রশিক্ষণ প্রদান ছাড়াও বিভিন্ন সহায়তামূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, অপরাধী সংশোধন ও পুনর্বাসন সমিতির মাধ্যমে এর আগে স্বাবলম্বী হয়েছেন একশ নারীপুরুষ কয়েদী। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সমাজে মাথা উচু করে বাঁচতে তাদেরকেও ভ্যানগাড়ি, সেলাই মেশিনসহ নগদ টাকা সহায়তা করা হয়েছিলো।