বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১১:৩৭ অপরাহ্ন

বরগুনা সদর হাসপাতালে আ.লীগ নেতাকে লাঞ্ছনা।

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিতঃ রবিবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২৩

বরগুনা সদর হাসপাতালে আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবর রহমান হাওলাদারকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটান হাসপাতালের অফিস সহায়ক মোহসিন।

অফিস সহায়ক হলেও মোহসিন হাসপাতালের আউট ডোরের দায়িত্ব পালন করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি।

জানা গেছে, আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবর রহমান হাওলাদার শনিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে বরগুনা সদর হাসপাতালে বিড়ালের কামড়ের ওষুধ নিতে আসেন। তিনি দেখেন হাসপাতালের অফিস সহায়ক মোহসিন কাউন্টারে বসে স্লিপ দিচ্ছেন।

এ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিটের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনিসহ অন্যান্য রোগীরা। ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও টিকিট না পাওয়ায় কারণ জানতে কাউন্টারের সামনে আসেন মজিবর। এ সময় তিনি মোহসিনকে মোবাইলে কথা বলতে দেখেন। তিনি প্রায় ২৫ মিনিট মোবাইলে কথা বলেন।

পরে মোহসিনকে উদ্দেশ করে মজিবর বলেন, ভাই আমরা অনেক রোগী ঘণ্টাব্যাপী লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। আপনি ব্যক্তিগত ফোনালাপ বন্ধ করে আমাদের ওষুধ নেওয়ার স্লিপ দিন। এতে মোহসিন ক্ষেপে গিয়ে কাউন্টারের দরজা খুলে বাইরে আসেন। গালাগাল করে মজিবর রহমানকে ধাক্কা দেন।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ঘটনার সময় আমার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন স্থানীয় এলজিইডি অফিসের কর্মচারী খলিলুর রহমান। তিনি আমাকে রক্ষা করেন। খলিল না থাকলে আমাকে আরও অপমান করা হতো। পরে মোহসিন সবাইকে স্লিপে দেয় আমাকে ছাড়া।

আমি এ ব্যাপারে বরগুনা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সোহরাব উদ্দিনসহ মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিই। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। মোহসিন শুধু আমাকে লাঞ্ছিত করেনি। বিগত দিনে অনেককেই লাঞ্ছিত করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে গেলে অফিস সহায়ক মোহসিন বলেন, আমি তাকে (মজিবর) লাঞ্ছিত করিনি। টিকিট দিতে দেরি হয়েছিল। এতে তিনি ধৈর্য হারিয়ে বরং আমার সঙ্গে রাগারাগি করে চলে যান।

অফিস সহায়ক হয়ে তিনি কেন ওষুধের স্লিপ দিচ্ছেন, জানতে চাইলে মোহসিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ওপর দায় চাপিয়ে দেন। তিনি বলেন, অফিস আমাকে দিয়ে কাজ করায় বলেই আমি স্লিপ দিই।

পরে ঘটনাটির ব্যাপারে সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. সোহরাব উদ্দিন খানের কাছে জানতে চাওয়া হয়। তিনি বলেন, আমি মজিবর রহমানের অভিযোগ পেয়েছি। তাকে আমি খবর দিয়েছিলাম। তিনি আমার সঙ্গে দেখা করেননি। পরে উনাকে নোটিশ করা হয়। আগামী মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) আমি শুনানি গ্রহণ করবো।

অফিস সরকারী হয়েও মোহসীন কেন ওষুধের স্লিপ দেয় জানতে চাইলে সোহরাব বলেন, হাসপাতালে স্টাফের স্বল্পতা রয়েছে। যে কারণে মোহসিনকে দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আর নিউজ
© All rights reserved © 2019 southbengalnews
themesba-lates1749691102