ঢাকার ধামরাইয়ে ঝালমুড়ি ফুসকা ও কোমল পানীয়ের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ সেবন করিয়ে আপন খালাতো ভাইয়ের নেতৃত্বে মাসহ তিন টিকটক নায়িকার সর্বনাশ করেছে একদল তরুণ।
প্রতিবেশীরা তাদের মঙ্গলবার সকালে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সোমবার রাতে এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ৭নং গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের কাওয়াখোলা গ্রামে। এ ব্যাপারে ধামরাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে মঙ্গলবার বিকালে।
ভুক্তভোগী পরিবার ও প্রতিবেশীরা জানান, উল্টর হাতকোড়া গ্রামের শহিদ সিরাজুল ইসলামের ছেলে ও হাতকোড়া-কাওয়া খোলা মইনুল ইসলাম দারুল উলুম মাদ্রাসার ছাত্র তার কয়েকজন বন্ধু নিয়ে সোমবার রাত ৯টার দিকে কাওয়াখোলা গ্রামের মো. বাবুল হোসেনের স্ত্রী ও তার খালা আঙ্গুরী বেগমের বাড়িতে বেড়াতে আসে। আসার সময় সঙ্গে করে নিয়ে আসে চেতনানাশক ওষুধ মিশ্রিত ঝালমুড়ি, ফুসকা ও কোমল পানীয়। এসব খেয়ে টিকটকের ভাইরাল নায়িকা সীমা আক্তার (১৩), লিমা আক্তার (১৪) এবং তাদের চাচাতো বোন নদী আক্তারসহ (১৫) তারা সবাই অচেতন হয়ে যায়। এরপর ওই তরুণরা তাদের সর্বনাশ করে চলে যায়।
পরদিন মঙ্গলবার সকালে ঘুম থেকে উঠতে বিলম্ব দেখে প্রতিবেশীরা তাদের ডাকাডাকি করে কোনো উত্তর না পেয়ে ঘরের ভেতর প্রবেশ করে দেখেন তারা প্রত্যেকেই বেহুঁশ হয়ে ফ্লোরে পড়ে আছেন। এরপর তাদের উদ্ধার করে কাওয়ারীপাড়া বাজার সীমান্ত জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। তাদের অবস্থার উন্নতি না হলে পরে গণস্বাস্থ্য মেডিকেলে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
এ হাসপাতালে নদী আক্তারের অবস্থার চরম অবনতি হলে তাকে মানিকগঞ্জ সদর আবাসিক হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এদের মধ্যে আঙ্গুরী বেগমের অবস্থার উন্নতি হলে তিনি বিকালে গিয়ে ধামরাই থানায় এ বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
তিনি বলেন, ঝালমুড়ি, ফুসকা ও কোমল পানীয়র মধ্যে চেতনানাশক ওষুধ মেশানো ছিল। অসৎ উদ্দেশ্যে খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মেশানো হয়; যা আমরা সরল বিশ্বাসে খেয়ে অচেতন হয়ে পড়ি। আমি এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
ধামরাই থানার এসআই মো. নজরুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে এ বিষয়ে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আসামি সিপুকে গ্রেফতার করা হলেই প্রকৃত তথ্য বের হয়ে আসবে।