রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৪৮ পূর্বাহ্ন
প্রধান সংবাদ :

ডিসকাউন্টের নামে ডিজিটাল পন্থায় ক্রেতাদের গলা কাটছে ফুডপান্ডা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০২৩

গেল ১০ জানুয়ারী সন্ধ্যায় ফুড কিং রেস্টুরেন্টে গিয়ে একটি থাই সুপ পার্সেল নেয় অ অদ্যাক্ষরের এক ক্রেতা।সিঙ্গেল ঐ সুপটি রেস্তোরাঁ থেকে দাম রাখা হয় ১০০ টাকা। এরপর দিনই ফুডপান্ডা এ্যাপে গিয়ে ঐ একই রেস্টুরেন্টে ঐ একই সুপ অর্ডার দিতে গিয়ে দেখেন সুপটির দাম ১৪০ টাকা যা ফুডপান্ডার সার্ভিস চার্জ সহ গিয়ে দাড়ায় ১৫০ টাকায়।কিন্তু ব্যাস্ততা থাকায় ঐ ক্রেতা দেড়গুন বেশী দামে ফুডপান্ডা থেকে ঐ স্যুপ কিনে পুনরায় বোকা বনে যান যখন অর্ডারের ৪০ মিনিট পর কাগজে মোড়ানো ঠোঙাতে ঢুকানো অবস্থায় ঠান্ডা স্যুপটি পান। ১২ তারিখ সকালে নতুন বাজার ঘরোয়া রেস্তোরাঁ থেকে নাস্তা অর্ডার করেন নগরীর এক চাকুরীজীবি, সেখানে তার প্রতি পিস পরাটা পড়েছে ১৩ টাকা করে এবং পায়া পড়েছে ৬২ টাকা, যা লাইভ দোকানে বিক্রি করা হয় ৫০ টাকায়।শুধু ফুড কিং রেস্টুরেন্ট কিংবা ঘরোয়া নয় বরিশালে এক তৃতীয়াংশ রেস্টুরেন্টের চেহারা এটি।লাইভ দোকানে যে জিনিসের দাম ৮০ ফুডপান্ডা এ্যাপে সেটা ১২০,একই সাথে খাবারের কোয়ালিটি খুবই নগন্য।এমন অভিযোগ পেয়ে নগরীর ফুডপান্ডা আউটলেট ভুক্ত আরও প্রায় ৩/৪ টি রেস্তোরাঁয় অনুসন্ধান চালানো হলে এমন অভিযোগের সত্যতা মেলে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি কফি শপের ম্যানেজার এ প্রতিবেদককে জানান, দোকানে যে দাম তার চেয়ে ফুডপান্ডায় তারা কিছুটা বাড়িয়েই প্রাইজলিষ্ট দিয়ে থাকেন কারন দাম যদি না বাড়ানো হয় তাহলে তাদের প্রোডাক্ট বিক্রি করে লস গুনতে হবে। কারন প্রতি বিক্রিতে ফুড পান্ডা লাভ বাবদ২০-২৮% পযর্ন্ত টাকা কেটে নেয়।তাই বাধ্য হয়েই এমন পন্থা।কিন্তু এতে যে ভোক্তাদের অধিকার লঙ্ঘন হয় এমন প্রশ্নের জবাবে ঐ সকল দোকানীরা বলেন এটা ফুডপান্ডা অফিস থেকে নিদর্রন করে দিয়ে যায়।এছাড়া ফুডপান্ডার লেনদেন এখন খারাপ। তারা পুরো সপ্তাহে আমাদের কাছ থেকে ব্যবসা করে যায় আর টাকা দিতে দেরি করে। পুরো এক সপ্তাহে ফুডপান্ডায় পাওয়া অর্ডার তাদেরকে ইনভেস্ট করে চলতে হয়। এজন্য তাদেরকে ফুডপান্ডায় ব্যবসা করতে হলে এর বাহিরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই বলে জানান তারা।এ বিষয়ে জানার জন্য বরিশাল ফুডপান্ডা অফিস ম্যানেজার মোঃ আসিফ প্রথমে জানান,কোন দাম বৃদ্ধি হয় না কিন্তু তাকে প্রমান স্বরুপ কিছু নথি দেখানো হলে তিনি বলেন এমন হবার কথা নয়, আবার দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।বলেন,তিনি বিষয়টি তার উদ্ধতন ব্যাক্তিবর্গের সাথে আলাপ করবেন,এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

তবে প্রতিনিয়ত ফুডপান্ডা এ্যাপ ব্যবহার করা বেশ কয়েকজন গ্রাহক জানান,প্রথম দিকে ফুডপান্ডা খুব জমজমাট ছিল, কোন টাকা কাটতো না আবার ডিসকাউন্ট পাওয়া যেত।পাশাপাশি ভালো রেস্তোরাগুলো এ্যড ছিল। কিন্তু এখন আর সেগুলো নেই।পাশাপাশি খাবারের মান খুবই খারাপের সাথে রয়েছে চড়া মুল্য।

এছাড়াও ফুডপান্ডায় বর্তমানে যে সকল রাইডার রা আছে তারা বিভিন্ন সময়ে খাবার দিতে এত দেরি করে যে খাবার ঠান্ডা হয়ে যায়।

এ বিষয় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরিশাল জেলা সহকারী পরিচালক সুমিত রানী মিএ বলেন, ফুট পান্ডার দাম ডিকলার করার কারনে ক্রেতারা দাম দেখে খাবার অর্ডার করছে। সে ক্ষেএে এদের ডেকে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা হবে। তিনি আরও জানান, তবে নিন্ম মানের খাবার দিলে তার প্রমান মিললে আমরা অভিযোগ পেলে ব্যবস্তা নিবো।

উল্লেখ্য ২০২০ সালের শুরুর দিকে বরিশালে কার্যক্রম শুরু করে ফুডপান্ডা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আর নিউজ
© All rights reserved © 2019 southbengalnews
themesba-lates1749691102