রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১৭ অপরাহ্ন
প্রধান সংবাদ :

ঘুমধুম সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে রোহিঙ্গা ঢুকছে বাংলাদেশে।

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিতঃ রবিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২৩

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় দুই সশস্ত্র গোষ্ঠীর গোলাগুলির পর সীমান্তে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

গত বুধবার সংঘর্ষের সময় শূন্যরেখায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের শত শত ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের অনেকেই শূন্যরেখা ছেড়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়েছে।

জানা গেছে, শূন্যরেখায় অবস্থানরতদের বড় অংশই তুমব্রু, কোনারপাড়াসহ আশপাশের গ্রামে অবস্থান নিয়েছে। আবার অনেকে উখিয়ার আশ্রয় শিবিরেও গোপনে প্রবেশ করেছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমেন শর্মা বলেন, শূন্যরেখায় গোলাগুলি ও ঘরে আগুন দেওয়ার কারণে কিছু রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তবে কতজন রোহিঙ্গা এসেছে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। যেহেতু শূন্যরেখার ঘটনা, তাই আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সেখানে আমাদের হস্তক্ষেপ করার এখতিয়ার নেই।

গত বুধবার সকাল ৬টার দিকে তুমব্রু সীমান্তের কোনারপাড়া শূন্যরেখায় আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) সদস্যদের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়। দুই পক্ষের সংঘর্ষ ক্যাম্পেও ছড়িয়ে পড়ে।

একপর্যায়ে তারা ক্যাম্পের বাড়িঘরে আগুন দেয়। এতে অন্তত ৫শ ঘর পুড়ে গেছে বলে দাবি করছেন ওই ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা।

বুধবারের সংঘর্ষের ঘটনায় হতাহতের সঠিক তথ্য জানাতে পারছে না কেউ।

তবে ওই দিন দুপুরে উখিয়া থানা-পুলিশ একজন আরএসও সদস্যের লাশ উদ্ধার করেছে। এছাড়া গুলিবিদ্ধ এক শিশু উখিয়ার এমএসএফ হাসপাতালে এবং একজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

শূন্যরেখায় বসবাসরত রোহিঙ্গা কমিউনিটির নেতা দিল মোহাম্মদ জানিয়েছেন,তাদের ক্যাম্পে ৬২১ পরিবার বাস করত। আগুনে পাঁচ শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ক্যাম্পের বেশিরভাগ পরিবার মিয়ানমার এবং কিছু পরিবার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আশ্রয় নিয়েছে। তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে।

বাংলাদেশে ঠিক কতজন রোহিঙ্গা নতুন করে প্রবেশ করেছে, আনুষ্ঠানিকভাবে সে তথ্য এখনো জানায়নি সরকারের কোনো সংস্থা। তবে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বাংলাদেশে ঢুকে পড়া রোহিঙ্গাদের তালিকা করতে বলা হয়েছে। তাদের পুশব্যাক করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত। তবে সীমান্তের পাড়াগুলোতে চরম আতঙ্ক রয়েছে।
ঘটনাস্থলের আশপাশে স্থানীয়রা যেন না যায়, তার জন্য সতর্ক করা হচ্ছে। এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সীমান্তরক্ষীরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আর নিউজ
© All rights reserved © 2019 southbengalnews
themesba-lates1749691102