রাজধানীর যাত্রাবাড়ী আড়তে চাঁদাবাজির আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ইমরান হোসেন (৩৫) নামে একজন নিহত হয়েছে। এ সময় শাহাদাত হোসেন (২০) ও ছিদ্দিক (২৫) আহত হয়েছে।
ইমরানের গ্রামের বাড়ি ঢাকা জেলার দোহার থানার নাইশ্যা গ্রামে। রাজধানীর উত্তর কুতুবখালী ভাড়া থাকতেন।
এদিকে ঢাকা জেলার ট্রাক ট্যাংক লড়ি ও কাভার্ডভ্যান ইউনিয়নের শ্রমিকরা ইমরানের লাশ নিয়ে হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী মাছের আরতের সামনে বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
এ সময় শ্রমিক নেতা সফিক ও মনির হোসেন বলেন, চাঁদাবাজ বিপ্লব উজ্জ্বল, আরিফ, আওলাদ ও তাদের দোসররা আমাদের নিরীহ শ্রমিক ভাইকে হত্যা করেছে। অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার পূর্বক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজারের মধ্যে বড় বাজার নামের আড়তে প্রতিদিন রাতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কয়েকশত পণ্যবাহী গাড়ি আসে। এসব গাড়ি থেকে নিয়মিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন সিটি টোল, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন, মালিক কল্যাণ তহবিল, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কুলি মজুর লোড আনলোড, বাংলাদেশ আন্তজেলা ট্রাক চালক ইউনিয়ন, ঢাকা জেলা ট্রাক ট্যাংক লরি ও কাভার্ড ভ্যান ইউনিয়নসহ অন্তত ৭/৮টি খাতের নাম ভাঙ্গিয়ে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করেন।
এ চাঁদাবাজির আধিপত্য নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে টোল আদায়কারী লাইনম্যান ইমরান নিহত ও দু’জন আহত হয়েছে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
যাত্রাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মফিজুল আলম বলেন, ‘আড়তে চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্য সংঘর্ষ হয়। এতে তিনজন আহত হলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন।
পরে ওই তিন জনের মধ্যে ইমরান নামে একজনকে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের লোকজনের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিয়তের স্ত্রী পপি আক্তার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। তবে এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।