রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৩ অপরাহ্ন
টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) সংসদীয় আসনের এমপি প্রার্থী ও ভূঞাপুর পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুদুল হক মাসুদের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার আলমনগর বোর্ডবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় সাংবাদিকসহ ১২ জন আহত, দুইটি প্রাইভেটকার ও ১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আহত সাংবাদিকরা হলেন- ঢাকা পোস্ট ডটকমের জেলা প্রতিনিধি অভিজিৎ ঘোষ, ডিবিসি টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান আশিকুর রহমান ও ঢাকা প্রকাশের জেলা প্রতিনিধি ফরমান শেখ।
জানা যায়, ভূঞাপুর পৌরসভার মেয়র মাসুদুল হক মাসুদ নৌকার বিপক্ষে নির্বাচন করার অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কৃত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক লুৎফর রহমানের মাধ্যমে মাদারজানী এলাকায় কম্বল ও লিফলেট বিতরণ করার জন্য যাচ্ছিলেন। তাদের গাড়িবহর আলমনগর বোর্ড বাজার এলাকায় পৌঁছামাত্র স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা চালায়। মেয়রের সঙ্গে থাকা সাংবাদিকরা ঘটনার ভিডিও করতে গিয়ে আহত হন। এ সময় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ককটেল বিস্ফোরণ, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করার অভিযোগ পাওয়া যায়।
মাসুদুল হক মাসুদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড জনগণকে জানানোর জন্য লিফলেট ও কম্বল বিতরণ করতে যাচ্ছিলাম। পথে স্থানীয় এমপি ছোট মনিরের নির্দেশে তার সমর্থকরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ সময় দুইটি প্রাইভেটকার ও বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও আলমনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মোমেন জানান, পৌর মেয়র মাসুদুল হক মাসুদ উপজেলা আওয়ামী লীগকে না জানিয়ে দল থেকে বহিষ্কৃত নেতা লুৎফরের মাধ্যমে আলমনগর ইউনিয়নে কম্বল বিতরণ করতে আসার খবর শুনে নেতাকর্মীরা তাকে বাধা দেন। এতে মেয়রের লোকেরা তাদের ওপর পাথর নিক্ষেপ করে। পরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে তাদের ধাওয়া দেন। তবে জটিল কিছু হয়নি।
গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন বলেন, খবর শুনে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। দুইপক্ষকে দুই দিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে ককটেল বিস্ফোরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ছোট মনির বলেন, ‘বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। উপজেলা আওয়ামী লীগকে না জানিয়ে ভূঞাপুর পৌর মেয়রের এভাবে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীদের নিয়ে কম্বল বিতরণ করা ঠিক হয়নি।’
