পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এক সন্তানের জননী গৃহবধূ মুক্তা আক্তারের (২০) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী ইমরান প্যাদাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। বুধবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা মাহতাব মাতব্বর মুক্তার স্বামী ছাড়াও শশুর সোলায়মান প্যাদা, শাশুড়ি জোসনা বেগম, ননদ সুমা বেগমসহ পাঁচজনকে আসামি করে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে রাতেই মামলা করেন।
পূর্বটিয়াখালী গ্রামের স্বামী ইমরান প্যাদার বাড়ি থেকে বুধবার শেষ বিকালে কলাপাড়া থানা পুলিশ মুক্তার মরদেহ উদ্ধার করে। লাশের ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। কলাপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, বাড়ির সবাই মুক্তাকে ঘরে রেখে অন্য বাড়িতে বিয়ের দাওয়াত খেতে যায়। সেখান থেকে ফিরে ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পায়। জানালা ভেঙ্গে ঘরের প্রবেশ করলে দোতলায় ওই গৃহবধূকে নিজের ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলতে দেখা যায়। নিহত গৃহবধুর আট মাস বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। মুক্তার সঙ্গে ইমরানের দুই বছর আগে বিয়ে হয়। মুক্তার বাবার বাড়ি আমতলীর টেপুরা গ্রামে।