ঝালকাঠি পৌরসভা সংলগ্ন থানার খালে বাধঁ দিয়ে ডিপড্রেনের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুম খাল পরিদর্শনে এসে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন। পৌরসভা কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি খালে বাধঁ দিয়ে পানিপ্রবাহ বন্ধ করে ডিপ ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু করে।
জানা যায়, সুগন্ধা নদী থেকে উৎপত্তি হয়ে থানার এ খালটি শহরের বুক চিরে বয়ে যায়। ভারি বৃষ্টিপাত হলেও খাল দিয়ে পানি সুগন্ধ্যা নদীতে নেমে যাওয়ায় শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় না। অথচ গুরুত্বপূর্ণ এই খালটি ভরাট করে ডিপ ড্রেন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় পৌর কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি খালের দুই পাশে পানি প্রবাহ বন্ধ করে দিয়ে ডিপ ড্রেন নির্মাণের কাজ শুরু করে। এতে ক্ষুব্দ হয়ে পৌরসভার নয় নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। ডিপ ড্রেন নির্মাণ কাজ বন্ধের দাবি জানিয়ে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সচেতন পৌরবাসীর ব্যানারে একটি মানববন্ধন করা হয়। ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ অংশ নেয়। পরে ১৮ ফেব্রুয়ারি ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুম খাল পরিদর্শনে এসে কাজ বন্ধের জন্য পৌর কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে নির্দেশ দেন।
এর পরেও ড্রেণ নির্মাণ কাজ করে যাচ্ছিল পৌর কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবেকুন নাহার ও জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) অং ছিং মারমা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মং এছেন ও শিব্বির আহম্মেদ পুনরায় সরেজমিন খালটি পরিদর্শন করে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। খালের দুইপাশে দেওয়া বাঁধ কেটে ফেলে পানি প্রবাহ সচল করা হয়।
নদী খাল রক্ষা কমিটির যুগ্ম আহবায়ক প্রশান্ত দাস হরি বলেন, সুগন্ধা নদীর শাখা ১১টি খাল শহরের মধ্যে দিয়ে প্রবহমান ছিল। কয়েকটি খালে পৌর কর্তৃপক্ষ ডিপ ড্রেন নির্মাণ করে। এতে শহরের মধ্যে বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। খালের মধ্যে কোনভাবেই ডিপ ড্রেন করা ঠিক নয়। এতে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে খাল মরে যেতে পারে।
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) অং ছিং মারমা বলেন, জেলা প্রশাসক স্যারে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে খালের ভেতর ডিপ ড্রেণ নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। তিনি পৌর কর্তৃপক্ষকে ড্রেন নির্মাণ কাজ না করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
ঝালকাঠি পৌরসভার প্যানেল মেয়র তরুণ কর্মকার বলেন, জলবায়ু তহবিল থেকে ডিপ ড্রেনে নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এটি দরপত্র আহবায়ক করে মন্ত্রালয়ের অনুমতি নিয়ে সঠিক প্রক্রিয়ার ম্যাধমে করা হচ্ছিল। এখন জেলা প্রশাসন কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবো ।