শহরের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কালিজিরা এলাকায় হাফিজ হাওলাদার নামে এক ব্যবসায়ীর বাসায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগীর দাবি, একটি কিশোর দল ডাকাতির ঘটনাটি ঘটনায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে।
তারা সবাই শুদ্ধ ভাষায় কথা বলে। জানালার গ্রিল কেটে তার পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে।
পুলিশের কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ করা হয়েছে।
জানা গেছে, শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত তিনটার দিকে মুখোশ পরিহিত ৮-১০ জনের একটি ডাকাত দল হাফিজ হাওলাদারের বাড়ির গ্রিল কেটে ঘরে ঢোকে।
অস্ত্র দেখিয়ে তারা ঘরে থাকা ৩ নারী ও ২ পুরুষ সদস্যকে জিম্মি করে ফেলে। পরে ঘরে থাকা নগদ ৪ লাখ টাকা ও ১৪ ভরি সোনার অলঙ্কারসহ বহু মালামাল লুট করে তারা। ঘণ্টা ব্যাপী ডাকাতিকাণ্ড চলে। কোনো শব্দ করলে ভুক্তভোগীদের হত্যার হুমকিও দেয় ডাকাত সদস্যরা।
হাফিজ হাওলাদার দাবি করে বলেন, ডাকাতির ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত। সদস্যরা সবাই কিশোর। তারা মুখ ঢেকে রাখলে জিন্সের প্যান্ট ও টি শার্ট পরিহিত ছিল। সবাই শুদ্ধ ভাষায় কথা বলছিল। আমি তাদের প্রতিহত করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাকে মারার প্রস্তুতি নেয়। এ সময় আমার মেয়ে তাদের সব নিয়ে চলে যেতে বলে। যাওয়ার সময় তারা হুমকি দিয়ে বলেছে, চিৎকার করলে বা রাস্তায় এলে গুলি করে দেবে।
হাফিজ হাওলাদারের স্ত্রী বলেন, ডাকাত দলটি প্রথমে আমাদের ড্রয়িং রুমে ঢোকে। এরপর আমার মেয়ের কক্ষে যায়। সে চিৎকার শুরু করলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে তাকে নিয়ে আমাদের রুমে ঢুকে সবাইকে বেঁধে ফেলে। আমার স্বামী চিৎকার দিলে তাকে বার বার গুলি করতে চায় ডাকাত সদস্যরা। পরে তাকে চিৎকার না করতে ওয়াদা করায় তারা। কথা না শুনলে আমাদের মেয়েকে ধর্ষণ করবে বলে হুমকি দেয়। তারপর তারা লুটপাট শুরু করে।
এ ঘটনায় পরবর্তীতে কতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ব্যবসায়ী হাফিজ হাওলাদার। বিষয়টি নিশ্চিত করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ডাকাতির বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।