শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪১ অপরাহ্ন
প্রধান সংবাদ :

রাজনৈতিক উত্তেজনায় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা।

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৩

‘রাজনৈতিক উত্তেজনায় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা’
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, ‘মনে হচ্ছে দেশ একটি সংঘাতময় পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে। রাজনৈতিক উত্তেজনায় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা আছে।’

তিনি বলেন, ‘দুটি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি যে অবস্থানে আছে, সেখান থেকে তাদের আর ফিরে আসার সুযোগ নেই। যে দল সরে যাবেন সেই দলই যেন বিলীন হয়ে যাবে। আবার যে দল পরাজিত হবে সেই দলের যেন মৃত্যু হবে। এই বাস্তবতায় একটা বড় ধরনের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।’

বুধবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার নুর কমিউনিটি সেন্টার মিলনায়তনে মাদক প্রতিরোধ ও কল্যাণ সোসাইটির ৭ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

জিএম কাদের বলেন, ‘আমরা সুশাসন প্রতিষ্ঠিত করতেই রাজনীতি করছি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই যেন ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যবস্থা থাকে। লজ্জার বিষয় হচ্ছে এতদিনেও আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যবস্থা করতে পারিনি। ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় এমন অবস্থা তৈরি হয়, ক্ষমতা হস্তান্তরের পরই যেন বড় ধরনের বিপদে পড়তে হবে। তাই স্বাভাবিকভাবেই কেউ ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চায় না। ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় একটি অনিশ্চিত ও সাংঘর্ষিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আমরা এমন পরিস্থিতি চাই না।’

তিনি বলেন, ‘ইভিএমে নির্বাচন আমরা চাই না। কারণ ইভিএমে নির্বাচনে কারচুপির সুযোগ আছে। আমরা মনে করি, যারা নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত তারা দলীয়করণের মধ্যেই আছেন। তাদের হাতে ইভিএমের রেজাল্ট পরিবর্তন করা সম্ভব হবে। আমরা মনে করি, ইভিএমের মাধ্যমে ভোটের ফলাফল বদলে দেওয়া যায়।’

জিএম কা‌দের বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা এখন রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে। আবার মাদকের ব্যবসাই সব চেয়ে লাভজনক ব্যবসা। তাই দেখা যায় ব্যবসায়ী রাজনীতিবিদ ও প্রভাবশালীরাই মাদক বিস্তারে পৃষ্ঠপোষকতা করছে। এ কারণেই দেশে মাকদের বিস্তার কমছে না।’

তিনি বলেন, ‘মাদক প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করে বিনাবিচারে অনেককে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু মাদক নির্মূল করা যায়নি। এখন চা ও মুদি দোকানেও মাদক পাওয়া যায়।’

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি বলেন, ‘মাদকের বিস্তার রোধ করতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। পরিবার থেকেই মাদক প্রতিরোধে উদ্যোগ নিতে হবে।’

মাদক প্রতিরোধ ও কল্যাণ সোসাইটির সভাপতি সেলিম নিজামীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য দেন- জাতীয় পা‌র্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আবদুস সবুর আসুদ, জহিরুল আলম রুবেল, ভাইস চেয়ারম্যান আমির উদ্দিন ডালু, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদ সুজন দে প্রমুখ।

সভা পরিচালনা করেন মাদক প্রতিরোধ ও কল্যাণ সোসাইটির মো. খসরু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আর নিউজ
© All rights reserved © 2019 southbengalnews
themesba-lates1749691102