রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০৫ পূর্বাহ্ন
প্রধান সংবাদ :

জুসের সঙ্গে বিষ খাইয়ে সন্তান হত্যার অভিযোগ।

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিতঃ শুক্রবার, ১৭ মার্চ, ২০২৩

স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে কিনে আনা জুস খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার রহিত দত্ত (১১)। এক পর্যায়ে মুখে ফেনা উঠেতে থাকে তার।

তাৎক্ষণিক তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক রহিতকে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে নানা আলোচনা ছড়িয়ে পড়েছে।

তাদের ঘরের পাশের ড্রেন থেকে একটি বিষের প্যাকেট পাওয়া গেছে। সন্দেহের জেরে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে রহিতের মা সুস্মিতা দত্তকে।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি জুসের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে ছেলে রহিতকে হত্যা করেছেন।

শুক্রবার (১৭ মার্চ) দুপুরে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা সদরের নকিপুর (হরিতলা) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রহিত উপজেলা সদরের নকিপুর (হরিতলা) গ্রামের মৃত গোপাল দত্তের ছেলে। সে নকিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

স্থানীয়রা জানান, চার বছর আগে স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে রহিতকে নিয়ে মনোজিত মণ্ডল নামের স্থানীয় এক শিক্ষকের বাসায় ভাড়া থাকতেন সুস্মিতা দত্ত।

রহিতের মেজ কাকা উজ্জল দত্ত জানান, শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে রহিতের মা ছেলের অসুস্থতার বিষয়টি ফোনে পরিবারের সদস্যদের জানান। এ সময় দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায় সে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে কিনে আনা জুস খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। একপর্যায়ে মুখ দিয়ে ফেনা উঠে শরীর নিস্তেজ হতে শুরু করলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক রহিতকে মৃত ঘোষণা করেন।

রহিতের আরেক কাকা বিশ্বনাথ জানান, খাদ্যে বিষক্রিয়ায় রহিতের মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকরা নিশ্চিত করলে তারা পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এ সময় ঘরের পাশে ড্রেন থেকে একটি বিষের প্যাকেট পাওয়া যায়। তিনি অভিযোগ করেন পরকীয়ায় জড়িয়ে বিশেষ কোনো কারণে রহিতকে তার মা হত্যা করে থাকতে পারেন।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবস্থানকালে রহিতের মা জানায়, বাইরে থেকে নিয়ে আসা জুস খেয়ে রহিত অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে খাবার স্যালাইন খাওয়ানোর পর গোসল করিয়ে শুইয়ে দিলে সে বমি শুরু করে। এক পর্যায়ে মুখ দিয়ে ফেনা উঠলে আত্মীয় স্বজনকে খবর দিয়ে ছেলেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার মাকে থানায় নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রহিতের মা ইদুর মারার জন্য বাসায় বিষ রাখার কথা জানিয়েছেন। ঘটনার তদন্ত চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আর নিউজ
© All rights reserved © 2019 southbengalnews
themesba-lates1749691102