শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪৬ অপরাহ্ন
প্রধান সংবাদ :

রোজার আগেই লেবু, বেগুন ও শসার দামে উত্তাপ ।

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৩

প্রতি বছর রোজা এলেই নিত্যপণ্যের দামে আগুন লেগে যায়। এবারের রোজতেও এর কোনো ব্যতিক্রম নেই।

ইফতারিতে তৃষ্ণা মেটানোর জন্য শরবতে ব্যবহৃত লেবু বাজারে বিক্রি হচ্ছে হালি প্রতি সর্বনিম্ন ৫০ টাকায়। যদিও এর মান খুব একটা ভালো নয়।

আর একটু বড় সাইজের ভালো মানের এলাচি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ১০০ টাকা হালি। ইফতারিতে বেগুনি বানানোর জন্য যে লম্বা বেগুন ব্যবহার করা হয়, তার দাম প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শসা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকায়।
রোজায় এ সকল পণ্যের চাহিদা বেশি থাকায় দাম বেড়েছে। পাশাপাশি রোজার প্রথম দিকে বাজারে দাম বেশি থাকলেও শেষ দিকে দাম কমে আসবে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। যদিও দাম বাড়ার পেছনে ব্যবসায়ীদের দোষ দিচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা। রমজানে এসব পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় অসন্তুষ্ট নিম্ন আয়ের মানুষ।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাজধানীর মহাখালী কাঁচাবাজার, খিলগাঁও রেলগেট বাজার এবং মেরাদিয়া বাজারসহ বিভিন্ন এলাকার ভ্রাম্যমাণ ও খুচরা বাজার ঘুরে দামের এমন চিত্র দেখা গেছে।

মহাখালী কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা মোহাম্মদ হানিফ মিয়া বলেন, কাঁচামালের দাম বেশি হলে ক্রেতারা সহজে কিনতে চান না। সে ক্ষেত্রে আমাদের বিক্রিও কমে যায়। বিক্রি বাড়লে আমাদের লাভ ভালো হয়। তাই দাম বাড়লে আমাদের জন্যও সমস্যা। তবে সরকার যদি পাইকারি বাজারগুলোতে মনিটরিং করতে পারে তাহলে আমাদের জন্য সুবিধা হয়। কারণ পাইকারি বাজার থেকে আমরা যে দামে কাঁচামাল কিনব অবশ্যই তার থেকে কিছু বেশি দাম দিয়ে বিক্রি করব। লাভ ছাড়া তো আমরা বিক্রি করতে পারব না।

এই ব্যবসায়ী আরও বলেন, আমরা যখন পাইকারি বাজারে সবজি কিনতে যাই, সেই সময় বাজারে যদি কাঁচামাল কম থাকে এবং ক্রেতার সংখ্যা বেশি থাকে তখন পাইকাররা ইচ্ছা করে দাম বাড়িয়ে দেয়। এটা এখন বাংলাদেশের নিয়ম হয়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা এটা চিন্তা করে না যে, দাম বাড়ালে সাধারণ মানুষের কেনাকাটা করতে সমস্যা হয়। পাইকারি বিক্রেতারা তো ঠিকই বিক্রি করতে পারে। শুধু সমস্যায় পড়ি আমরা সাধারণ ছোট ব্যবসায়ীরা।

শাক-সবজির দাম নির্ধারণ করা নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে কাঁচামালের দাম সরকারের পক্ষ থেকে নির্ধারণ করা সম্ভব না। তবে কাঁচামালের জন্য সমগ্র দেশে একটি স্ট্যান্ডার্ড প্রাইজ দেওয়া আছে, যদিও এটা কোনো ফিক্সড দাম নয়। তবে এর মাধ্যমে বোঝা যাবে দাম অতিরিক্ত বেশি রাখছে কিনা। রোজায় যেন কোনো ব্যবসায়ী নিত্যপণ্যের দাম অতিরিক্ত মুনাফার লোভে না বাড়ায় সে জন্য সবাইকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আর নিউজ
© All rights reserved © 2019 southbengalnews
themesba-lates1749691102