দুবাই প্রবাসী ছেলে শাহীন সরদারের (৪৭) মৃত্যুর খবর পেয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বাবা আকুবালী সরদার (৭৮) নামের এক ব্যক্তি। বাবা ও ছেলের মৃত্যুতে আত্মীয়-স্বজনদের আহাজারিতে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের বাঙ্গিলা গ্রামের আকাশ বাতাস ভারি হয়ে ওঠে।
এলাকাবাসীর মধ্যে নেমে আসে শোকের ছায়া। প্রবাসী শাহিনের মরদেহ দেশে ফিরে না এলেও বরিশাল শেবাচিম হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করা আকুবালী সরদারকে শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে মৃত আকুবালীর মামাতো ভাই রুহুল আমিন সরদার জানান, ২২ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে শাহিন সরদার স্ট্রোক করে দুবাইতে মৃত্যুবরণ করেন। ছেলের মৃত্যুর খবর গত ২৮ ডিসেম্বর সকালে জানতে পারেন আকুবালী। এরপরই তিনি চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। প্রথমে তাকে গৌরনদী উপজেলা হাসপাতালে ও দুপুরে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন রাতেই মৃত্যুবরণ করেন আকুবালী।
অসহায় পরিবারের সদস্যদের মুখে আহার যোগাতে বিগত ১৬ বছর পূর্বে শাহীন সরদার দুবাইগমণ করেন। সবশেষ ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে ছুটি শেষে শাহীন বাড়ি থেকে পুর্নরায় দুবাইগমণ করেন।
শাহীনের স্ত্রী চম্পা বেগম জানান, গত ২২ ডিসেম্বর দুপুরে স্বামীর সাথে তার সর্বশেষ মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে। তখন শাহীন তাকে জানিয়েছিলেন, বুকের ডান পাশে একটু ব্যথা অনুভব হচ্ছে। পরে ওইদিন রাতে খবর পান তার প্রবাসী স্বামী স্ট্রোক করে মারা গেছেন।
তিনি আরও জানান, বিষয়টি নিকটাত্মীয়রা সবাই জানলেও তার শ্বশুর ও শাশুড়ির কাছে কয়েকদিন গোপন রাখা হয়। পরবর্তীতে লোকমুখে গত ২৮ ডিসেম্বর সকালে শাহীনের মৃত্যুর খবর জানতে পারেন তার বৃদ্ধ বাবা ও মা। চম্পা বেগম তার স্বামীর মরদেহ দুবাই থেকে দেশে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।