বরগুনার বেতাগীতে ইউপি সদস্য মো: শামিম খানকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার কথা জানিয়েছে বেতাগী পুলিশ। বুধবার খুলনার খালিশপুরের নতুন বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে খুলনা ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পরে বেতাগী পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গেফতার ব্যক্তির নাম চান মিয়া (৫৫)। তিনি উপজেলার দক্ষিণ কালিকাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা আ. গনি মিয়ার ছেলে। বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ইউপি সদস্য শামিমকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলার মূলহোতা চান মিয়া ঘটনার পর থেকেই দীর্ঘদিন বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আমরা তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। এ হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা যায়, গত বছরের আগস্টে গভীর রাতে উপজেলার সরিষামুড়ি ইউনিয়নের মায়ার হাঁট এলাকায় ইউপি সদস্য শামিম খানের ঘরে বাইরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। তারা বাইরে থেকে দরজাও লাগিয়ে দেয়।
এতে অগ্নিদগ্ধ হন শামিম ও তার স্ত্রী সুচি আক্তার। গুরুতর অবস্থায় পরের দিন সকালে শামিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট নেওয়া হয়। ১১ আগস্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর দুদিন পর ১৩ আগস্ট মৃত শামিমের মা মনোয়ারা বেগম অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে বেতাগী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করলে তারা হত্যার দায় স্বীকার করে মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে চাঁন মিয়ার নাম উল্লেখ করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।