বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পর এবার জিলা স্কুলে তৃতীয় শ্রেণির ৪৬ শিশুর ভর্তি বাতিল হচ্ছে। জন্ম নিবন্ধনের ডিজিট পাল্টে একাধিক নামে লটারিতে অংশ নিয়ে নির্বাচিত হয়ে ওই স্কুলে ভর্তি হয়েছিল তারা। এছাড়াও অন্য ৩টি স্কুলেও অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
তথ্য গোপন করে তৃতীয় শ্রেণির ভর্তি লটারিতে অংশ নিয়ে এবার ২৪০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। যাচাই-বাছাইয়ে মিথ্যা তথ্য প্রদানের প্রমাণ পায় ভর্তি কমিটি। গতকাল মঙ্গলবার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দেয়া তালিকা অনুযায়ী তথ্য গোপনকারী ৫৯ ক্ষুদে শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
অন্য ৪টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ভর্তিতেও তথ্য গোপনের প্রমাণ পেয়েছে ভর্তি কমিটি। জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল ইসলাম জানান, জিলা স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া ৪৬ জন শিক্ষার্থীর তথ্য গোপনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের তালিকা জেলা প্রশাসনকে দেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, মঙ্গলবার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল হয়েছে। অন্য ৪টি স্কুলে ভর্তিতে তথ্য গোপনকারীদের তালিকা পাওয়া যায়নি। তলিকা পেলে তাদের ভর্তিও বাতিল হবে।
ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবা হোসেন বলেন, ৫টি সরকারি স্কুলেই তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তিতে অসত্য তথ্য প্রদানের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের ভর্তি বাতিল হলে শূন্য কোটায় অপেক্ষমান তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হবে।
৫টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণিতে শতাধিক শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলের খবরে ওই সব পরিবারে হাহাকার শুরু হয়েছে। তারা নানাভাবে ভর্তি বাতিল প্রক্রিয়া থামানোর চেষ্টা করছেন।