রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:২৬ পূর্বাহ্ন
প্রধান সংবাদ :

বরিশালে প্রথমবার কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের আয়োজনে টোটাল ফিটনেস দিবস উদযাপিত।

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিতঃ শুক্রবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২৩

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন বরিশালে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে প্রথমবারের মত টোটাল ফিটনেস দিবস উদযাপন করেছে। দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল সুস্থ্য দেহ প্রশান্ত মন কর্মব্যস্ত সুখী জীবন ।

দুই শতাধিক মানুষের অংশগ্রহনে অনুষ্ঠানে ছিল প্রাণায়াম, যোগ ব্যায়াম, শরীরের ভারসাম্য ব্যালেন্স পরীক্ষা, মেডিটেশন,জীবন ঘনিষ্ঠ আলোচনা ও সচেতনতামূলক বুলেটিন বিতরন। এসময় অনেকে যোগব্যায়ামের গুরুত্বপূর্ণ একটি আসন বঙ্গাসনে মেডিটেশন করতে দেখা গেছে। এর পর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা একটি বর্নাঢ্য রেলী করে বঙ্গবন্ধু উদ্যান হতে জর্ডন রোডস্থ কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন বরিশাল শাখায় আসেন।

সকাল ৮ টা থেকে শুরু হয়ে ঘন্টাব্যাপী এ কার্যক্রমে বীর মুক্তিযোদ্ধা বজলুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী সালাহউদ্দিন,বীর মুক্তিযোদ্ধা এ এম জি কবির ভুলু, শেবাচিম এর গাইনী বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ হাওয়া আক্তার জাহান, ডাঃ সাবরিনা সুলতানা, বরিশাল মহিলা কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোফাজ্জল সারোয়ার, ঝালকাঠি মহিলা কলেজের রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জসীম উদ্দিন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মুহসিন উদ্দিন,কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনে বরিশাল শাখার পরিচালক ফয়সাল মাহমুদ সহ বিভিন্ন পেশা শ্রেনীর মানুষ অংশগ্রহণ করেন।সারাদেশের ন্যায় একই সাথে একই সময়ে বরিশালেও এ দিবসটি পালন করলো কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন।

এ বছরের মত প্রতি বছর জানুয়ারি মাসের প্রথম শুক্রবার ফিটনেস দিবস পালন করবে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন।

টোটাল ফিটনেসের চারটি শাখা। শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও আত্মিক। একজন মানুষ সারাদিনে কতক্ষন ক্লান্তিহীন ভাবে কাজ করতে পারে এটিই নির্দেশ করে তার শারীরিক ফিটনেস কতটুকু। আবার সারাদিনের কাজের ক্লান্তি, অবসাদ, বিষন্নতা, হতাশায় কেউ নিমজ্জিত কিনা তার উপর নির্ভর করে সে মানসিকভাবে ফিট কিনা। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য মেডিটেশন এবং যোগব্যায়ামের কোন বিকল্প নেই। সারা বিশ্বের মত বাংলাদেশেও এখন লক্ষ লক্ষ মানুষ শারীরিক ও মানসিক ফিটনেসের জন্য মেডিটেশন এবং যোগব্যায়াম করছেন। এর পরই আসে সামাজিক ফিটনেস । পারস্পরিক যোগাযোগ,সম্পর্ক, সহযোগিতা, বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে একজন মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে সমাজে তার অবস্থানের উপর নির্ভর করে তার সামাজিক ফিটনেস। কাজকে সেবায় পরিনত করার প্রক্রিয়াই হলো আত্মিক ফিটনেস। আর এই আত্মিক ফিটনেস অর্জন করতে পারলেই বাকী তিন ফিটনেস পরিপূর্ণতা পায়। ফলে একজন মানুষ যা যা ভাবতে পারে তাই অর্জন করতে পারে। একজন মানুষ যা যা চায় সে তাই পেতে পারে। এতে করে সে অবগাহন করতে পারে সুস্বাস্থ্য, সাফল্য, প্রাচুর্য ও প্রশান্তিতে।

ফিটনেস নিয়ে মানুষের ভেতর যথাযথ সচেতনতা তৈরি করাই হল দিবসটি পালনের মূল উদ্দেশ্য। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন গত তিন দশক ধরে এ নিয়ে কাজ করছে। একজন মানুষের ভালো থাকা মানে সব দিক থেকেই ভালো থাকা। সব দিক মানে শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও আত্মিক এই চারটি দিকেই ভালো থাকা। সব দিক থেকে ফিট থাকলেই সার্বিকভাবে ভালো থাকা সম্ভব। তাই চার ক্ষেত্রের প্রতিটি ক্ষেত্রেই ফিটনেস দরকার। দরকার টোটাল ফিটনেস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আর নিউজ
© All rights reserved © 2019 southbengalnews
themesba-lates1749691102