গলাচিপার চরকাজল ইউনিয়নের ছোটশিবা গ্রামে কলই ক্ষেতে শাক তুলতে গিয়ে নিখোঁজ স্বপ্না আক্তারের (১২) লাশ দুই দিন পরে স্থানীয় ডুমুরের চরের খাল থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ অভিযান চালিয়ে রবিবার রাত দশটার দিকে ওই কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে। এর আগে ওই এলাকার সোবাহান সরদারের ছেলে অভিযুক্ত রেজাউল সরদারকে (৩৮) গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা বাবুল ফকির (৪২) বাদী হয়ে স্বপ্নাকে হত্যার অভিযোগে থানায় রেজাউলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রেজাউল লাথি মেরে স্বপ্নাকে হত্যা করে খালের কচুরিপানার ভিতরে লুকিয়ে রাখে বলে জানান গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শোনিত কুমার গায়েণ।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গলাচিপা উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের ছোটশিবা গ্রামের বাবুল ফকিরের মেয়ে স্বপ্না আক্তার শনিবার বিকেলের দিকে তার দাদী আয়েশা বেগমের সাথে বাড়ির পাশে ক্ষেতে কলই শাক তুলতে যায়।
এক পর্যায়ে আয়েশা বাড়ি আসতে চাইলে স্বপ্না বলে, ‘আমার শখের ঝুঁড়ি ভরলে বাড়ি যাব।’ দাদী বাড়ি চলে আসলেও সন্ধ্যার পরেও স্বপ্না বাড়ি না ফেরায় পরিবারের মধ্যে উৎকন্ঠা দেখা দেয়। এর পর পরিবার ও এলাকাবাসী মিলে রেজাউল সরদারের কলই ক্ষেতে স্বপ্নার ছেঁড়া জামা-কাপড় দেখতে পায়। কিন্তু কোথাও স্বপ্নাকে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনার খবর পেয়ে শনিবার থেকে ঘটনাস্থলে পুলিশ বিভিন্ন ধরনের কৌশল অবলম্বন করে। পরে পুলিশ রবিবার রাত ৮টার দিকে অভিযুক্ত রেজাউলকে গ্রেফতার করে গলাচিপা থানায় নিয়ে আসে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রেজাউল স্বপ্নাকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করে। পরে রেজাউলের কথিত মতে ওই দিন রাত দশটার দিকে ডুমুরের চরের খালের কচুরিপানার ভিতর থেকে স্বপ্নার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শোনিত কুমার গায়েণ বলেন, কিশোরী স্বপ্না হত্যার মামলার একমাত্র আসামী রেজাউলকে সোমবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।