রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অত্যাধুনিক বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনারের আসনে থাকা এলইডি মনিটর খুলে নেওয়ার চেষ্টা করেছে কে বা কারা। ভেঙে ফেলেছে আসনের হাতলও।
কারা এ অপরাধ ঘটিয়েছে জানা যায়নি।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা থেকে কানাডার টরন্টো শহরে চলাচল করে ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার।
পথে সোয়া এক ঘণ্টা ট্রানজিট নেয় তুরস্কের ইস্তাম্বুলে। আকাশযানটি ধারণ করে ৩০০ যাত্রী। ফ্লাইটের সময় ২১ ঘণ্টা।
ঘটনাটি চলতি সপ্তাহে ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করছে বিমান। টরন্টোয় রুটিন চেক আপের সময় ঘটনাটি নজরে আসে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। কয়েকটি ছবি পাওয়া গেছে; যেখানে দেখা যাচ্ছে কয়েকটি আসনের দুই পাশের হাতল ভাঙা, ক্ষতি করা হয়েছে আসনের গদিতেও। টেপ দিয়ে কোনোমতে ক্ষতিগ্রস্ত অংশ জোড়া লাগানো।
খুলে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে এয়ারক্রাফটের ৪১-সি নম্বর আসনের সামনের সিটের এলইডি মনিটর। মেঝেতে ফেলে রাখা হয়েছে ময়লা-আবর্জনা, ব্যবহৃত কাটা চামচ, পানির খালি বোতল।
এত বড় অপরাধ ঘটে গেলেও কেউ দেখেননি, বা কেউ জানেন না- এমন দাবি করছে বিমান। টরন্টোর মতো শহরে একটি দেশের পতাকাবাহী উড়োজাহাজের এমন ক্ষতি নিয়ে উঠেছে প্রশ্নও।
বিমান দাবি করছে, ঘটনাটিতে কারা জড়িত বা কেন এমন করা হয়েছে কোনো ক্লু কর্তৃপক্ষ পায়নি। জানতে চাইলে সংস্থাটির বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শফিউল আজিম বলেন, আমরা ইতোমধ্যে আমাদের টরেন্টো সাইডকে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখতে বলেছি। আমাদের সঙ্গে তাদের সময়ের পার্থক্য রয়েছে। তারপরও কাজ চলছে। রাতেই কাজ শুরু হয়েছে। কারা প্লেনে ছিল সেই খোঁজও চলছে।
দোষী শনাক্ত হলে শাস্তি কী হবে জানতে চাইলে শফিউল আজিম বলেন, তারা বাংলাদেশের হলে আমরা আমাদের আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেব। আর যদি বিদেশি কেউ হয়, সে ক্ষেত্রেও তাদের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে শনাক্ত হলেই আমরা প্রস্তুত পদক্ষেপ নিতে। আমরা অভ্যন্তরীণ রিপোর্টিং সিস্টেমেও দোষীকে শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। গুরুত্ব দিয়েই সব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।