নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে গাছের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় কিরণ হাজারী নামে এক যুবলীগ কর্মী নিহত হয়েছেন। সোমবার রাত ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত কিরণ হাজারী (২৭) উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভা এলাকার গনিপুর গ্রামের মো. আলমগীরের ছেলে। তিনি যুবলীগের কর্মী ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিরণ হাজারী সোমবার বিকালে ঢাকা-নোয়াখালী মহাসড়কের মজুমদার হাটের পাশে দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় হাইওয়ে পুলিশ তাকে থামার জন্য সিগন্যাল দেয়। তিনি মোটরসাইকেল না থামিয়ে চলে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করলে পুলিশ তাকে ধাওয়া করে। এতে তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে থাকা গাছের গুঁড়ির সঙ্গে ধাক্কা খায়। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ও পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়। একপর্যায়ে রাত ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কিরণ মারা যান।
বেগমগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ফরিদুল আলম বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তাদের এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া পুলিশের ধাওয়ার অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, ওই যুবক উল্টো সাইডে যাওয়ার কারণে দুর্ঘটনার শিকার হন। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে আমাদের পুলিশ পাঠিয়েছি। আমি রাতেই ওই যুবকের মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছি।