বরিশালের গণমাধ্যমকর্মীদের সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ‘নলেজ শেয়ারিং অ্যান্ড ক্যাপসিটি বিল্ডিং অন এগ্রিকালচার মিডিয়া রিপোর্টিং’ শীর্ষক একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
খাদ্য নিরাপত্তা ও টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্য (এসজিডি) অর্জনে এবং কৃষি উদ্ভাবনকে কার্যকরভাবে ব্যবহারে প্রান্তিক কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে প্রমাণভিত্তিক কৃষি সংবাদ প্রচারে এ আয়োজন করা হয়।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বরিশাল নগরের বান্দরোডস্থ একটি হোটেলে এ কর্মশালার আয়োজন করে ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশ (এফএফবি)। এতে বরিশালের সংবাদমাধ্যমের ২০ জনেরও বেশি গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
জেষ্ঠ্য সাংবাদিক আনিসুর রহমান স্বপন ও শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন এবং সব অংশগ্রহণকারী, প্যানেলিস্ট ও সম্মানিত অতিথিদের স্বাগত জানান।
একটি ভিডিও বার্তায় প্রফেসর ড.তোফাজ্জল হোসেন বলেন কৃষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন বা উন্নয়ন করতে চাইলে জীবপ্রযুক্তির উপর গুরুত্ব দিতে হবে।
তিনি বলেন, ২০৫০ সাল নাগাদ পৃথিবীর জনসংখ্যা বাড়বে। সে বিবেচনায় খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। এ কারণে কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
দেশে বর্তমানে ৪০ শতাংশ মানুষ কৃষিকাজে জড়িত। কিন্তু সঠিক উপায় না জানার কারণে কৃষিক্ষেত্রে মাঠপর্যায়ের কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার রাখতে পারে বলে মন্তব্য তার।
কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক ফেরদাউস সোহাগ ও এফএফবি’র প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড কমিউনিকেশন স্পেশালিস্ট সাদিক উদ্দিন।
সাদিক উদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের খাদ্য নিরপাত্তা নিশ্চিত করার জন্য ফসল উৎপাদনের প্রতি আরও বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তার জন্য জিন এডিটিং, জেনেটিক্যালি মোডিফাইড অর্গানিজম বা জিএমও এর ওপর গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন তিনি।
কৃষি প্রযুক্তির নানান সব তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য, গণমাধ্যমকর্মীরা তাদের প্রচার মাধ্যমে কৃষি উন্নয়নে সর্বোপরি খাদ্য-পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে বলে তিনি জানান।
ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার জাহিদ ইমরান তার উপস্থাপনায় পলিসি আডভোকেসি’র ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, জীব প্রযুক্তিসহ অন্যান্য আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির কল্যাণ মাঠপর্যায়ের কৃষকদের কাছে ছড়িয়ে দিতে হবে। প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর ক্ষেত্রে নীতিনির্ধারকসহ জনপ্রতিনিধিরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে, তাই তাদেরকে সম্পৃক্ত করা অনস্বীকার্য।