রাজধানীর উত্তরখান চাঁনপাড়া এলাকায় রাশেদা (৩২) এক নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় মো. হযরত আলী (৪৭) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে উত্তরখান চাঁনপাড়া বিল্লাল হাজীর সেমিপাকা বাড়ীর পূর্ব পার্শ্বের একটি রুমে ওই নারীকে ধর্ষণের পর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
রাশেদা শেরপুর শ্রীবরদী উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামের আশরাফ আলী মেয়ে।
তার স্বামীর নাম আব্দুর রশিদ। বর্তমানে উত্তরখান এলাকায় থাকতো।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) তথ্য নিশ্চিত করেন উত্তরখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মজিদ।
তিনি জানান, এক বছর যাবত পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। হযরতের সঙ্গে রাশেদার। তাকে বিয়ের প্রলোভনে দীর্ঘদিন ধরে তার সঙ্গে শারিরীক সম্পর্ক করে আসছিল হযরত।
মঙ্গলবার রাতে রাশেদাকে বিবাহের প্রলোভনে কৌশলে উত্তরখান চাঁনপাড়া বিল্লাল হাজীর সেমিপাকা বাড়ীর পূর্ব পার্শ্বের রুমে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে তাদের সঙ্গে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে ঘরে থাকা লোহার পানের বাটা দিয়ে একের পর এক রাশেদার মাথায় আঘাত করে হযরত। এতে রাশেদা ঘটনাস্থলে মারা যায়।
পরবর্তীতে হযরত নিজেই ৯৯৯ জাতীয় জরুরী সেবায় কল করে বলে আমি স্ত্রীকে খুন করেছি।
উল্লেখ্য, বিবাদী হযরত ভিকটিম রাশেদাকে স্ত্রী দাবি করিলেও সে কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারে নাই। পরে পুলিশ গিয়ে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয়।