ছোট বোনের দেওয়া লিভারে নতুন জীবন পেলেন বগুড়ার মো. মন্তেজার রহমান (৫৩)। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) লিভার ট্রান্সপ্লান্টের মাধ্যমে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিনি। তার ছোট বোনের নাম শামীমা আক্তার (৪৩)।
বুধবার বিএসএমএমইউ-এর হেপাটোবিলিয়ারি, প্যানক্রিয়েটিক ও লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি বিভাগ এ তথ্য জানায়।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে বিএসএমএমইউ-এর কেবিন ব্লকের চতুর্থ তলায় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ লিভার ট্রান্সপ্লান্টে সুস্থ হওয়া মন্তেজার রহমানকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। ‘মুজিব শতবর্ষ লিভার ট্রান্সপ্লান্ট প্রোগ্রাম’-এর অংশ হিসাবে তার লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করা হয়।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, হেপাটোবিলিয়ারি, প্যানক্রিয়েটিক ও লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মোহছেন চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. বিধান চন্দ্র দাস, আবাসিক চিকিৎসক (আরপি) সহকারী অধ্যাপক ডা. তৌফিক আহমেদ প্রমুখ। পরে উপস্থিত সবাই মন্তেজার রহমান ও তার বোন শামীমা আক্তারসহ সব রোগীর জন্য প্রার্থনা করেন।
বিএসএমএমইউ সূত্রে জানা যায়, বগুড়ার মো. মন্তেজার রহমান লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশনের রোগী ছিলেন। তিনি নন-বি, নন-সি জনিত ‘অ্যান্ড স্টেজ লিভার ডিজিজ’ আক্রান্ত ছিলেন। তার বোন শামীমা আক্তার মন্তেজারকে লিভার দান করেন।
১ জানুয়ারি তাদের লিভার ট্রান্সপ্লান্টের সফল অস্ত্রোপচার করেন বিএসএমএমইউ-এর হেপাটোবিলিয়ারি, প্যানক্রিয়েটিক ও লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকরা। ১২ ঘণ্টাব্যাপী অস্ত্রোপচারে সহযোগিতা করে ভারতের এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজির লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন ও অ্যানেসথেসিয়া টিম।
অস্ত্রোপচার করে শামীমা আক্তারের দেহ থেকে সুস্থ লিভারের ৬০ শতাংশ কেটে নেওয়া হয়। এরপর মন্তেজার রহমানের সিরোটিক লিভারের পুরোটাই কেটে বের করে শামীমা আক্তারের দেওয়া লিভারের ৬০ শতাংশ জোড়া দেওয়া হয়। লিভারদাতা শামীমার লিভারটি ধীরে ধীরে রি-জেনারেট করবে। এটি লিভার নামক অঙ্গটির একটি বিশেষত্ব। গত মাসেই লিভারদাতা শামীমা আক্তার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন।