রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০৫ অপরাহ্ন
প্রধান সংবাদ :

পড়নের কাপড় ছারা আর কিছুই থাকলো না আমাদের।

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিতঃ রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

আমি গরিব মানুষ, অন্যের বাড়িতে কাজ করি। প্রতিদিনের মত ছেলে দুইটাকে স্কুলে পাঠায় দিয়ে ঘরে তালা দিয়ে কাজে গেছি।

আগুন লাগার খবর শুনে ছুটে এসে দেখি আগুনে আমার তিনটা ঘরের সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখন পরনের কাপড় ছাড়া আর কিছুই থাকলো না।

আমি মানুষের বাসায় কাজ করে টাকা জমিয়ে টিন দিয়ে বাড়ি বানিয়েছিলাম। এখন জমিটা ছাড়া সব শেষ’।

কান্না জড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন দিনাজপুর সদর উপজেলার ১ নম্বর চেহেলগাজী ইউনিয়নের রানীগঞ্জ হঠাৎপাড়া এলাকার বাসিন্দা হাসেন আলীর স্ত্রী বিলকিস বেগম।

রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিমিষেই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে তাদের আসবাবপত্রসহ তিনটি ঘর।

প্রথমে আগুন দেখতে পেয়ে নেভানোর চেষ্টা করেন স্থানীয়রা। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা আসার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন তারা।

স্থানীয়রা বলেন, দুপুরে আগুন দেখতে পেয়ে এলাকার অনেক মানুষসহ আমরা বিভিন্ন স্থান থেকে পানি এনে আগুন নেভাতে থাকি। বৈদ্যুতিক শক সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। ওরা স্বামী-স্ত্রী কেউ বাসায় ছিল না। তারা ঘরে তালা দিয়ে কাজ করতে গিয়েছিল। বর্তমানে এখানকার যা অবস্থা তাতে এক সন্ধ্যা যে তারা খাবে এমন কিছু নাই। আগুনে সব পুড়ে শেষ।

হাসেন আলীর বাবা আজিজুল হক বলেন, আমি অটো চালাতে গেছিলাম। আমার ছেলের বাসায় আগুন লাগার খবর শুনে এসে দেখি সব পুড়ে গেছে। দুইটা নাতি স্কুলে পড়ে। ছেলেটা মানুষের জমিতে কাজ করে। এখন এ বাড়ি ঘর কিভাবে করবো। গরিব মানুষ টাকা পয়সা তো নাই।

এ বিষয়ে দিনাজপুর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা মেহফুজ তানজীর বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। তবে তার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন স্থানীয়রা। অগ্নিকাণ্ডে দুই লাখ টাকার মত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আর নিউজ
© All rights reserved © 2019 southbengalnews
themesba-lates1749691102