স্ত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলায় স্বামীকে বেধড়ক মারধর করেছে পরকীয়া প্রেমিক ও তার বাবা। পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের মমিনপুর গ্রামে শনিবার ভোররাতে এ ঘটনা ঘটেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওই গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা লালু সরদারের ছেলে হারুন সরদারের (৪৬) সঙ্গে একই ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের সিদ্দিক চৌকিদারের মেয়ে শিল্পী বেগমের (৪২) ১৩ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুই ছেলে মেয়ে রয়েছে।
হারুন সরদার অভিযোগ করেন, গত তিন বছর যাবৎ আমার স্ত্রী শিল্পী বেগমের সঙ্গে আমার আপন চাচাতো ভাই শাহিন সরদারের (৪৭) পরকীয়া প্রেম চলছে। শনিবার ভোর রাতে তিনি ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে যান। নামাজ শেষ করে ঘরে ফিরে তিনি স্ত্রী শিল্পী বেগমকে শাহিনের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান। এ নিয়ে তিনি ডাক চিৎকার করলে বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসেন। শাহিনের সাথে তর্কবির্তকের একপর্যায়ে তার বাবা (শাহিনের) খালেক সরদার এসে তাকে (হারুনকে) কিলঘুষি মারতে থাকেন। এসময় শাহিনও তাকে এলোপাতাড়িভাবে মারধর করে এবং এ ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে মেরে ফেলার হুমকি দেন।
এ ব্যাপারে হারুন সরদারের স্ত্রী শিল্পী বেগম বলেন,‘তার স্বামী মানসিক বিকারগ্রস্থ লোক। কখন কি বলে নিজেও জানেনা। আমার বিরুদ্ধে তার অভিযোগ সত্য নয়।’
পরকীয়া প্রেমিক শাহিন সরদার বলেন,‘হারুন সরদার আমার আপন চাচাতো ভাই। আমরা একই বাড়িতে থাকি। আমি বিবাহিত। দুই সন্তানের জনক। তিনি মানসিক রোগী। আমার ভাবমূর্তী বিনষ্ট করতেই উল্টাপাল্টা কথা বলেছেন।’
হারুন সরদার বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি। মিথ্যা কথা বলবোনা। আমার স্ত্রীর পরকীয়ার কারণে আমি মানসিক যন্ত্রনার মধ্যে আছি। তার মানে আমি পাগল না।
এ ব্যাপারে বাউফল থানার ওসি আল মামুন বলেন,‘এ ধরণের কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’