মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নানা অনিয়ম ও অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (৬ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের ৭ জন সদস্য।
বিভিন্ন ধরনের নথি যাছাই ও রোগীর সঙ্গে কথা বলেন তারা। এ সময় সরকারি ওষুধ ক্রয় ও বিতরণসহ নানা অনিয়য়ের প্রাথমিক সত্যতা প্রমাণিত হয়।
জানা যায়, দুদকের হট লাইনে রোগীদের দেওয়া অভিযোগ ও একাধিক পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতালে অভিযানে যায় দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তারা।
তবে এ ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দোহাই দিয়ে কথা বলতে চান না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবার এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ রোগী ও স্বজনরা।
রোগীরা জানান, অধিকাংশ ওষুধ বাইরে থেকে কিনে নিয়ে আসতে হয়। তাদের কাছে চাইলে বলে, সরবরাহ নেই। ডাক্তার যে ওষুধ লিখে, তা হাসপাতালে পাওয়া যায় না। সরকারি হাসপাতালে এমন স্বাস্থ্যসেবা লজ্জাজনক।
মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. শিহাব চৌধুরী বলেন, গণমাধ্যমে কথা বলতে নিষেধ আছে। এ ব্যাপারে বক্তব্য দেবে সিভিল সার্জন স্যার। আমি কিছুই বলতে পারবো না।
মাদারীপুর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আকতারুজ্জামান জানান, একাধিক অভিযোগ পেয়ে হাসপাতালে অভিযানে যায় দুদকের একটি দল। প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন অনিয়মের সত্যতা পাওয়ার বিষয় প্রধান কার্যালয়ে লিখিত ভাবে পাঠানো হবে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে এ ব্যাপারে জানতে জেলার সিভিল সার্জণ ডা. মুনীর আহম্মেদ খানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।