নোয়াখালীর হাতিয়ায় ঘরে একা পেয়ে বাক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তার ভগিনীপতির বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকেই ভগিনীপতি (৩২) পলাতক রয়েছেন।
রোববার সন্ধ্যায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে হাতিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। এর আগে শুক্রবার দুপুর ৩টার দিকে উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড দক্ষিণ গামছাখালী গ্রামে ভিকটিমের নিজ ঘরে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে।
ভগিনীপতির বাড়ি চরকিং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড দক্ষিণ গামছাখালী গ্রামে। তিনি সম্পর্কে ভিকটিমের জেঠাতো বোনের স্বামী। বিয়ের পর থেকেই তিনি শ্বশুরবাড়ি তথা ভিকটিমের বাড়িতে বসবাস করেন।
ভিকটিমের মা জানান, নিজের বাড়িতে পানির কল না থাকায় পাশের বাড়িতে পানি আনতে যান তিনি। এ সুযোগে ঘরে ঢুকে ভিকটিমকে ধর্ষণ করে। কিছুক্ষণ পর তিনি পানি নিয়ে বাড়ির দিকে আসলে কিছু বুঝে উঠার আগেই অভিযুক্ত দ্রুত ঘর থেকে বের হয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তখন তিনি ঘরে ঢুকে দেখেন তার প্রতিবন্ধী মেয়েটি উলঙ্গ অবস্থায় নিথর হয়ে পড়ে আছে। তখন তিনি চিৎকার দিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে স্বাভাবিক হলে চট্টগ্রামে শ্রমিক হিসেবে কাজ করা ছেলেকে মোবাইলে বিষয়টি জানান, পরদিন ছেলে এসে বিষয়টি স্থানীয় সবাইকে জানান।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আল আমিন বলেন, সকালে মেয়ের ভাই আমার কাছে এসে ঘটনাটি বলেছেন। যেহেতু এটি আইনি বিষয় তাই আমি সঙ্গে সঙ্গে থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেই এবং নিজে থানায় গিয়ে ওসির সঙ্গে কথা বলি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজেদ উদ্দিন বলেন, চরকিংয়ের বাক ও শারীরিক প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। আসামিকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ওসি আমির হোসেন বলেন, আসামিকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে। মেডিকেল রিপোর্টের জন্য সকালে ভিকটিমকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।