শেবাচিমের নতুন গেট নির্মাণকাজ দু’মাস ধরে বন্ধ
গত বছরের সেপ্টেম্বরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে গেট নির্মাণকাজ শুরু করে গণপূর্ত বিভাগ। এরপর গেটের কিছু অংশ দৃশ্যমান হলেও অর্থ বরাদ্দের অভাবে মাঝ পথেই থেমে গেছে কাজ। ফলে নির্মাণাধীন গেটটি এখন রোগী, তাদের স্বজন ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, নির্মাণ কাজ বন্ধ হলেও সরানো হয়নি সড়কের ওপর রাখা নির্মাণ সামগ্রী। এতে বন্ধ হয়ে আছে যানবাহন চলাচল। মানুষের চলাচল করতেও পোহাতে হয় ভোগান্তি। এ সুযোগে হাসপাতালের সামনের ওই জায়গা চলে গেছে ভ্রাম্যমাণ হকারদের দখলে।
সরেজমিনে জানা গেছে, ‘চলতি বছরের শুরু থেকেই বন্ধ রয়েছে গেট নির্মাণ কাজ। তবে নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত ইট ও পাথর স্তুপ করে রাখা হয়েছে হাসপাতাল চত্বরে প্রবেশের একপাশের সড়কে। আর অপর সড়কটি দখল করে নির্মাণ শ্রমিকদের অস্থায়ী টিনের ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্ত সেখানে কেউ না থাকলেও অপসারণ করা হয়নি ঘরটি।
তবে গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী জুন-জুলাইয়ের আগে সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।
জানা গেছে, ‘বরিশালের সাবেক জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দারের প্রস্তাবনায় শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে গেট নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করে গণপূর্ত বিভাগ। এরপর গত বছরের সেপ্টেম্বরে হাসপাতালে প্রবেশের প্রধান গেটটি ভেঙে শুরু হয় নতুন গেট নির্মাণ কাজ। কিন্তু দীর্ঘ সময় পরও এর কাজ শেষ হয়নি। তবে গণপূর্ত বিভাগের দাবি গেট নির্মাণের ৬০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, নির্মাণ কাজ এবং প্রধান সড়ক দুটি বন্ধ থাকায় রোগী, তাদের স্বজন ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এটি দ্রুত সমাধানে সিটি করপোরেশনের উদ্যোগ প্রয়োজন।
এ প্রসঙ্গে নির্মাণ কাজের তদারকিতে থাকা গণপূর্ত মেডিকেল উপ-বিভাগের প্রকৌশলী মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘গেটটি নির্মাণের জন্য এক কোটি টাকার প্রয়োজন। কিন্তু এখন পর্যন্ত পুরো টাকা বরাদ্দ পাইনি। গত বছর প্রায় ৪৩ লাখ টাকা নিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম। এখন আরও ৫০ লাখ প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে নতুন করে ৪০ লাখ টাকা প্রশাসনিক বরাদ্দ হয়েছে। ওই টাকা পেলে পুনরায় নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে। নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত মানুষের চলাচলে সমস্যা সহ্য করতে হবে বলেও জানান তিনি।