পটুয়াখালী জেলা শহরের সদর রোডস্থ ন্যাশনাল অয়েল মিল এবং একটি তুলার গোডাউনে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এ সময় ক্ষতিগ্রস্তরা পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনকে অবহিত করেন। ফোনকলে তাৎক্ষণিক ফায়ার সার্ভিসের একটি দল আগুন নেভাতে রওনা হয়।
কিন্তু সড়কে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার ইটের স্তূপ থাকায় ফায়ার সার্ভিস দল অগ্নিকাণ্ডস্থলে পৌঁছাতে পারেনি। যে কারণে অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহতা বেড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সংশ্লিষ্টরা।
দীর্ঘ ১০ থেকে ১৫ দিন সড়কজুড়ে নিজের ব্যবহৃত ইটের স্তূপ রেখে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন পটুয়াখালী জেলার সাবেক ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পটুয়াখালী দেশ টিভির জেলা প্রতিনিধি ইব্রাহীম সাইদ অভিযোগ করে বলেন, সোমবার সন্ধ্যার পরে অগ্নিকাণ্ড ঘটলে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেই। ফায়ার সার্ভিস রওনা হয়ে একেএম কলেজ সড়ক দিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে গেলে সড়কে স্তূপ করে রাখা রাশেদ খানের ইটে প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়। ফলে যথাসময়ে ফায়ার সার্ভিস দল ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে না পারায় সব পুড়ে গেছে। এসব ঘটনা মৌখিকভাবে সবাইকে অবহিত করেছি।
এ প্রসঙ্গে ৬নং ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর রেজাউল হাসান বলেন, আজ থেকে অন্তত ১২ দিন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রাশেদ খান সড়কে ইট রেখেছেন। রাশেদ ও তার ভাই রানাকে সড়ক থেকে ইট সরাতে একাধিকবার বলা হয়েছে কিন্তু তারা শোনেননি। সোমবার রাতে আমার বাসার পাশেই অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। তাতে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় ছিলাম। ইট সরানোর বিষয়ে আমি অসহায়।
একেএম কলেজের অধ্যক্ষ আনম সাইফুদ্দিন বলেন, সড়কে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রাশেদ খানের রাখার বিষয়টি জেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ, পৌরসভাসহ সবাই অবগত আছেন। সেখানে আমি তুচ্ছ। এর বাইরে আমি কিছু বলব না।
পটুয়াখালী-বরগুনা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সহকারী পরিচালক আমিরুল ইসলাম বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক রওনা হই কিন্তু সড়কে ইট রাখার ফলে যথাসময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারিনি। যে কারণে একটু বেশি ক্ষতি হয়েছে।
ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম ও সুমন মেহেদী বলেন, সড়কে ইট রাখার কারণে ফায়ার সার্ভিস পৌঁছতে পারেনি। যে কারণে ক্ষতি বেশি হয়েছে। আমরা অভিভাবক শূন্য শহরে বসবাস করছি।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রাশেদ খান বলেন, আমি এখানে ইট রাখিনি। সড়কে টমটম ঢুকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তাই এলাকাবাসী ইট রাখছে, যা পৌরসভা অবগত আছে। এছাড়াও টমটম রোধে একেএম কলেজ কর্তৃপক্ষ পৌরসভায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।