রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৩ পূর্বাহ্ন
প্রধান সংবাদ :

পুকুরে সেচ দিয়ে মিলল নিখোঁজ নারীর মরদেহ।

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ২১ মার্চ, ২০২৩

বরিশালের উজিরপুরে মাছ ধরতে পুকুরের পানি সেচ দিয়ে বস্তাবন্দি নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (২০ মার্চ) বিকেলে উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নের বান্না গ্রাম থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত শাহনাজ ওই গ্রামের মৃত কদম আলী শাহ’র স্ত্রী। সে গত ২৪ দিন আগে নিখোঁজ হন।

উজিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তৌহিদুজ্জামান জানান, বান্না গ্রামের সেলিনা বেগম বরিশাল নগরে বাস করেন। তার গ্রামের বাড়ির পুকুর থেকে মাছ ধরার জন্য সোমবার সেচ দেওয়া হয়।

সেচ দেওয়ার পর বিকেলের দিকে পুকুরে সাদা রংয়ের প্লাষ্টিকের বস্তা দেখতে পায়। তখন বস্তায় কি দেখার জন্য কাছে গেলে গন্ধ পেয়ে পুলিশকে অবহিত করে। খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বস্তাবন্দি মরদেহটি উদ্ধার করেছেন।

মরদেহটি গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে নিখোঁজ শাহনাজ বেগমের বলে তার স্বজনরা শনাক্ত করেছে। এ নিখোঁজের ঘটনায় করা মামলার তদন্ত জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ করছে। তাই পরবর্তি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ঘটনাস্থলে থাকা জেলা ডিবি পুলিশের এসআই কাজী ওবায়েদুল কবির বলেন, বস্তার মধ্যে ৮টি ইট দিয়ে মরদেহ বস্তাভর্তি করে। পরে দুই প্রান্তে দুইটি রশিতে খুটা দিয়ে মাটিতে গেথে রেখেছে। যার কারণে মরদেহটি ভেসে উঠেনি। নারীর হাতে থাকা চুরি ও পড়নের শাড়ি দেখে স্বজনরা মরদেহ শনাক্ত করেছে।

এসআই ওবায়দুল কবির বলেন, মরদেহ দেখে মনে হচ্ছে নিখোঁজের দিন তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে এবং মরদেহটি গুম করার উদ্দেশ্যে পুকুরে ডুবিয়ে দিয়েছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন না পেলে কিভাবে হত্যা করা হয়েছে বলা যাবে না বলে জানিয়েছেন এসআই কবির।

এদিকে নিহতের স্বজনরা জানান, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিধবা শাহানাজ বেগম (৫৩) নিখোঁজ হন । নিখোঁজের পরে শাহানাজ বেগমের ভাইয়ের ছেলে মো. আল আমিন উজিরপুর মডেল থানায় সাধারণ ডাইরি করেন। ডাইরির সূত্র ধরে সন্দেহ জনক বাড়ির পাসের মো. ইদ্রিস মিয়া (৬০) কে গ্রেফতার করে এবং একটি মামলা রুজু করে বরিশাল আদালতে প্রেরণ করে। বর্তমানে ইদ্রিস মিয়া জেল হাজতে রয়েছেন ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা ডিবি পুলিশের এসআই আযম বলেন, শাহনাজের ভাইয়ের ছেলে মো. আল আমিন বাদী হয়ে মামলা করেছে। মামলায় বাদী অভিযোগ করেছেন, ইদ্রিস তাকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন।

এসআই আযম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে বলা যাবে কিভাবে হত্যা করা হয়েছে। আর পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আর নিউজ
© All rights reserved © 2019 southbengalnews
themesba-lates1749691102