নরসিংদীর বেলাবতে স্ত্রী আয়েশা আক্তারের (৩৮) দায়ের কোপে মাদকসেবী স্বামী অহিদুজ্জামানের (৬৫) মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার সল্লাবাদ ইউনিয়নের নিলক্ষীয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বাড়ির পাশ থেকে অহিদুজ্জামানের মরদেহ উদ্ধার করে ও আয়েশা আক্তারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

নিহত অহিদুজ্জামান উপজেলার সল্লাবাদ ইউনিয়নের নিলক্ষীয়া গ্রামের মৃত সুলতান মিয়ার ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বুধবার রাতে নিলক্ষীয়া গ্রামে বাড়ির পাশে অহিদুজ্জামানের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। আলামত দেখে পুলিশের সন্দেহ হয় খুনটা ঘরের ভিতরে হয়ে থাকতে পারে। পরে আয়েশাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি খুনের কথা স্বীকার করেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নরসিংদী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. আল-আমিন।

জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, তার স্বামী একজন মাদকসেবী। সে মূলত গাজা সেবন করে প্রায়ই তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত। বুধবার রাত ৯টা থেকে আয়েশার সাথে ঝগড়া ও গালিগালাজ শুরু করে অহিদুজ্জামান। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে অহিদুজ্জামান দা দিয়ে স্ত্রীকে কোপ দিতে আসলে দুইজনের ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে স্ত্রী আয়েশা আক্তার স্বামীর হাত থেকে দা নিয়ে গলায় কোপ দেয়। এতে অহিদুজ্জামান গলা কেটে মারাত্মকভাবে আহত হয়ে খাটের উপর পড়ে গিয়ে মারা যায়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, আয়েশা তার স্বামীকে হত্যা করে তার লাশ কোলে করে ঘরের বাহিরে উঠানে রেখে আসে। বিছানায় থাকা কম্বল-কাঁথা ও দা ধুয়ে রাখে। বিছানা ঠিক করে শুয়ে পড়েন আয়েশা। একটু পরে ঘর হতে বের হয়ে চিৎকার করে তার স্বামীকে কে বা কারা হত্যা করেছে বলে প্রতিবেশীদের জানায়। এ ঘটনায় বেলাব থানার মামলা হয়। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে। পরে আদালতের বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ প্রদান করেন।